এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন পেয়ারা
শীত হোক কী বর্ষা, শরীর সুস্থ রাখতে পেয়ারার দারুণ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি, লাইকোপেন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে।
ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পারে এই ফল। পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে। এ ছাড়া এই ফলের রয়েছে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।
ক্যান্সার প্রতিরোধেও পেয়ারা খুব ভালো কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে এই ফল। প্রোস্টেট ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সারের জন্য পেয়ারা খুবই উপকারী।
প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এছাড়াও নিয়মিত পেয়ারা খেলে আরও যেসব উপকার পাওয়া যাবে-
সংক্রমণের আশঙ্কা কমে : এই ফলে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র ক্ষতিকর জীবাণুদের ধ্বংস করতে শুরু করে। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত সব ধরনের বিষাক্ত উপাদানও বেরিয়ে যায়। এতে শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে। নিয়মিত একটা করে পেয়ারা খাওয়া শুরু করলে দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে : প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন এ থাকার কারণে নিয়মিত পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তির মারাত্মক উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে ছানি, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং গ্লকোমার মতো রোগও দূরে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তচাপ ও রক্তের লিপিড কমে আসে। পেয়ারাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। লাইকোপিনসমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা নিয়মিত খেলে তা কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা মজবুত করে। ফলে ছোট-বড় কোনও ধরনের রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। নানা ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় : পেয়ারায় উপস্থিত ভিটামিন বি ৩ এবং বি ৬ মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মস্তিষ্কের কগনেটিভ ফাংশন, অর্থাৎ স্মৃতিশক্তি, বুদ্ধি এবং মনোযোগের উন্নতি ঘটে।
ক্যান্সারের মতো রোগ দূরে থাকে : পেয়ারায় থাকা লাইকোপেন, কুয়েরসেটিন, ভিটামিন সি এবং পলিফেনল শরীরে জমতে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমে : শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে থাকলে পেটের রোগ যেমন কমে, তেমনি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দূরে থাকে।
সারা বছর পাওয়া যায়, এমন একটি ফল পেয়ারা। দেশীয় এই ফল দামে সস্তা ও সহজলভ্য। অন্যান্য ফলের তুলনায় পেয়ারার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমলকী ছাড়া অন্য যেকোনো ফলে পাওয়া যায় না। এখন বৃক্ষ রোপনের উপযুক্ত সময়। আসুন বাড়ির আশেপাশে পতিত জমিতে এবং অফিস আদালতের অব্যাবহৃত স্থানে উপকারী ফল পেয়ারা গাছ লাগাই।