স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়া পৌর ১৮ নং ওয়ার্ডে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মুদি দোকানের আড়ালে চলছে একাধিক মামলার আসামি ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসয়ী রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসীর রমরমা মাদক ব্যবসা। একাধিকবার প্রশাসনের হাতে গ্রেপ্তারের পরও বিন্দুমাসী মাদক বিক্রির দৌরাত্ম যেন কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
চলমান মাদক বিরোধী অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কুষ্টিয়া পৌর ১৮ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম মজমপুর মুনসুরশাহ্ মাজার এলাকার গোলাম মোস্তফা ড্রাইভার ওরফে মরার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসীর দিনে দুপুরে অবাধে অবৈধ মাদক বিক্রি করছে। যা যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই মাদক ব্যবসায়ী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম মজমপুর মুনসুরশাহ মাজার এলাকার মাদক ব্যবসায়ী বিন্দুমাসি প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় রমরমা মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে মাদকের ডিলার বিন্দুমাসি একাধিকবার পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে এসে ফের আবারও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরেছে।
বিন্দুমাসি পশ্চিম মজমপুর এলাকার বড় গাঁজা ও ইয়াবার ডিলার হিসেবে পরিচিত। তার এই রমরমা গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসা অনেক পুরাতন বলে জানা গেছে। বিন্দুমাসি এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করছে।
ওই এলাকার স্থানীয় কিছু ব্যক্তি বলেন, মাদক এই রাষ্ট্র ও সমাজের মারাত্মক একটি ব্যাধি। রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসী আসলেই একজন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী। মূলত মুদি দোকানে আড়ালে এই মাদক ব্যবসা করছে ।
মাদক ব্যবসা করেই রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসী লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে গেছেন। পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তার করলেও টাকার বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে আবার সেই মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পরে। বর্তমান যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসীর মামলার রেফারেন্স
কুষ্টিয়া জেলা/ইউনিট এর কুষ্টিয়া সদর থানার এফআইআর নং-৩৭, তারিখ- ২৭ নভেম্বর, ২০১৫; জি আর নং-৩৬৭, তারিখ- ২৭ নভেম্বর, ২০১৫; তারিখ ২৭ নভেম্বর, ২০১৫, সময়- ২৩.৩০, এফআইআর নং-৩৬, তারিখ- ২৫ মার্চ, ২০১৯; জি আর নং-১৪০, তারিখ- ২৫ মার্চ, ২০১৯; সময়- ২১.৪৫ ঘটিকা ধারা- ২৫-এ-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ; তৎসহ ৩৬(১) সারণির ১০(ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮;, এজাহারে অভিযুক্ত বিবাদী – চার্জশীট :- ২১৪(ক),
এফআইআর নং-৩২, তারিখ- ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮; জি আর নং-৩২, তারিখ- ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮; সময়- ১৪.৩০ ঘটিকা ধারা- ১৯(১) এর ৯(ক)/ ১৯(১) এর ৩(ক) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ;, এজাহারে অভিযুক্ত/বিবাদী – চার্জশীট :-৮৭, এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে চার্জশীট :-৫৭, এই মামলায় অভিযুক্ত হয়েছে।এফআইআর নং-৩৫, তারিখ- ৩০ নভেম্বর, ২০১৭; জি আর নং-৪৬৩, তারিখ- ৩০ নভেম্বর, ২০১৭; সময়- ১৯.১৫ ঘটিকা ধারা- ১৯(১) এর ৩(ক) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ;, এজাহারে অভিযুক্ত।
জিআর-আর নং-৪৬৩, তারিখ- ৩০ নভেম্বর, ২০১৭; সময়- ১৯.১৫ ঘটিকা ধারা- ১৯(১) এর ৩(ক) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ;, এজাহারে অভিযুক্ত বিবাদী – চার্জশীট :-৩৪৫.,
এফআইআর নং-১, তারিখ- ০১ জুন, ২০১৭; জি আর নং-২০২, তারিখ- ০১ জুন, ২০১৭; সময়- ০০:১৫ ঘটিকা ধারা- ১৯-a ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন;, এজাহারে অভিযুক্ত,এফআইআর নং-২, তারিখ- ০১ জুন, ২০১৭; জি আর নং-২০৩, তারিখ- ০১ জুন, ২০১৭; সময়- ০০.২০ ঘটিকা ধারা- ১৯(১) এর ৩(ক) ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন;, এজাহারে অভিযুক্ত/বিবাদী – চার্জশীট :-১৭৯,চার্জশীট :-৩৫৪.২৩, এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে,এফআইআর নং-২১,
এ বিষয়ে রোকেয়া খাতুন ওরফে বিন্দুমাসীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমার নামে মামলা আছে, আমি মাদক ব্যবসা করি মামলা চলাতে খরচ হয় এই কারণে আমি মাদক ব্যবসা করি আমার নামে লেখালেখি করে কিছুই করতে পারবেন না আমি মাসোহারা দিয়ে ব্যবসা করি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ী যত শক্তিশালিই হোক না কেনো তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।