নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমারখালী থানাধীন সৈয়দ মাছ উদ রুমী সেতুর টোল প্লাজা থেকে ব্যবসায়িক টাকা সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পথে স্মরন আলী (৩৫) নামের এক যুবককে রাস্তা রোধ করে এই টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) কুষ্টিয়া শহরের হরিশংকরপুর খাঁ পাড়া এলাকার স মিলের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
আহত স্বরন আলী কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার ৭২ শহীদ ইয়াকুব সড়কের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে সৈয়দ মাছ উদ রুমী টোল প্লাজায় আদায়ের কাজে নিয়োজিত আছে। বর্তমানে স্মরন আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এবিষয়ে সৈয়দ মাছ উদ রুমী সেতুর টোল প্লাজার ম্যানেজার শামীম শেখ (৩৭) বাদী হয়ে হরিশংকরপুর এলাকার মকসেদ আলী সাই সড়কের বাসিন্দা সমসের খাঁর তিন ছেলে সবুজ খাঁ (৩৮), সিহাব খাঁ (৩৫) ও সাগর খাঁ (২৮), একই এলাকার নুরুল ইসলাম গুলির ছেলে রাব্বি (২৮) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
সৈয়দ মাছ উদ রুমী সেতুর টোল প্লাজার ম্যানেজার শামীম শেখ জানান, সেতুর টোলের আদায়কৃত নগদ এক লক্ষ দশ হাজার টাকা সাইড ব্যাগে করে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়া শহরের দিকে আসার পথিমধ্যে হরিশংকরপুর খাঁ পাড়া এলাকার স-মিলের পাশে পৌছালে সবুজ খাঁ, সিহাব খাঁ, সাগর খাঁ,রাব্বিসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জনতাবদ্ধে হাতে ধারালো চাপাতি, হকিস্টিক, লোহার রড ইত্যাদি সহকারে স্বরনের টাকার ব্যগ বহনকৃত মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। তখন স্মরন আসামীদের চিনতে পেরে রাস্তা থেকে সরে দাঁড়াতে বললে ধারালো চাপাতি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছে থাকা ব্যাগে রক্ষিত টাকা দিতে বলে। এমন সময় স্মরন তার কাছে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা তাদের হাতের হকিস্টিক, লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে স্বরনের ডান পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। তারপর তারা সাইড ব্যাগে রক্ষিত নগদ এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী আহত স্বরন আলী জানান, আমাদের মাছ-উদ রুমী সেতুর টোল প্লাজা থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকা নিয়ে আসছিলাম। আমাদের ওখানে কালেকশন হয় টোলের। আমি টাকা নিয়ে আসার সময় মন্ডল তেল পাম্পের পাশ দিয়ে আসার সময় রাস্তায় ৮ থেকে ১০ জন দাঁড়িয়ে ছিলো। তার মধ্যে তিনজনকে আমি চিনেছি। তারা আমার মোটরসাইকেল থামিয়ে আমার পায়ে কোপ মেরে টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মোঃ সোহেল রানার সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এটা এ ঘটনা না এটা অন্য ঘটনা