তাড়ি ব্যবসায়ি থেকে ডাক্তার বিমল প্রামাণিক
১৩নং ওয়ার্ড ত্রিমোহনী বাজার সংলগ্ন বিশিষ্ট তাড়ি ব্যবসায়ী ও ভুয়া ডাক্তার বিমল ডাক্তারি সনদ বাদেই প্রকাশ্যে রুগী দেখে যাচ্ছে। এই তথ্য উপর নির্ভর করে সাংবাদিক নিলয় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তার উপর ভুয়া ডাক্তার বিমল সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। এই ঘটনার পর কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটা এজাহার দায়ের করা হয়। এজাহারের উল্লেখ্য, সর্ব রোগের ডাক্তার বিমল কুষ্টিয়া শহরে ত্রিমোহনী বাজার সংলগ্ন একটি ফার্মেসির দোকানে অবৈধ ভাবে রুগী দেখে যাচ্ছে দিনের পর দিন। কয় এক বছর আগেও ভুয়া ডাক্তার বিমল পরামানিক ছিলেন বিশিষ্ট তাড়ি ব্যবসায়ী। ডাক্তার হতে হলে যে কোন একটি বিষয়ের উপর ডিগ্রী বা দক্ষ হতে হয়। কিন্তু ভুয়া ডাক্তার বিমল সর্ব রোগের ডাক্তার, তার কাছ থেকে কোন রুগী বিনাচিকিৎসায় ফিরে যায় না। তিনি সব রোগের ঔষধ দিয়ে থাকেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তার অপকর্ম কিছুদিন আগে কুষ্টিয়া র্যাব-১২ উদঘাটন করে এবং তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তিনি আবার জামিনে বের হয়ে তার অবৈধ রুগী দেখার ব্যবসা আবার শুরু করে। জন মতের প্রশ্ন ভুয়া ডাক্তার কোন বিষয়ের উপর ডিগ্রী বা দক্ষতা গ্রহণ করেছে তা জানতে চাই? লোক মুখে জানা যায় যে, ভুয়া ডাক্তার বিমল গরু, ছাগল, কেও চিকিৎসা প্রদান করে থাকে। বর্তমান বাজারে একজন এমবিবিএস ডাক্তার হতে হলে তার কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় করতে হয়। এই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার ও রুগীর অঙ্গহানীর কথাও শোনা গেছে। একজন তাড়ি ব্যবসায়ী কিভাবে ডাক্তার হয় আর প্রশাসনের নাকের ডোকায় কি ভাবে রুগী দেখে যাচ্ছে দিনের পর দিন তা আমাদের বোধগম্য নয়। প্রশাসন নিশ্চুপ কেনও তা জানতে চাই আমরা।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ও জাতীয় দৈনিক ভোরের আকাশের জেলা প্রতিনিধি নিলয় আহম্মেদ (২৯) তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তাড়ি ব্যবসায়ী, ভুয়া ডাক্তার বিমল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায় তার উপর। সাংবাদিক নিলয়ের চিৎকার শুনে আশেপাশে মানুষ একত্রে হয়ে তাকে উদ্ধার করে। তারপর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করে। এই সময় বিমল ডাক্তারের সাথে দুই সহযোগি উপস্থিত ছিলো। আসামী ১) বিমল প্রামানিক (৫৫), পিতা-অধ্যৈত প্রামানিক, ২) অপু (৩০), পিতা-অজ্ঞাত, ২) নিশি বিশ্বাস (৩২), পিতা-অজ্ঞাত, সর্বসাং-বারখাদা ত্রিমোহনী, থানা ও জেলা- কুষ্টিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন। অদ্য ০৯/১১/২০২৩ ইং তারিখ সময় অনুমান বিকাল ৪.৩২ ঘটিকায় আমি সংবাদ গ্রহণের জন্য বারখাদা ত্রিমোহনীতে যায়। ১নং আসামী বিমল প্রামানিক দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া শহরের ১৩নং ওয়ার্ডের ত্রিমোহনী বাজারে জনবহুল এলাকায় ভুয়া সনদধারী অবৈধ ভাবে ডেন্টাল ও জেনারেল চিকিৎসা করে আসিতেছে। ১নং আসামীর অবৈধ চিকিৎসার তথ্য সংগ্রহ ও ভিডিও ফুটেজ ধারণ করতে গেলে ১নং আসামী আমার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে আমার উপর হামলা করে। ১নং আসামীর হাতে কাঠের বাটাম দিয়ে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে আমি মাথা সরিয়ে নেওয়ায় উক্ত আঘাত ঘাঁড়ে লেগে নিলা ফোলা জখম হয়। ২নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে আমি মাথা সরিয়ে নেওয়ায় উক্ত আঘাত ডানপাশে কাঁধে লেগে নিলা ফোলা জখম হয়। ৩নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ী মারপিট করে ফোলা ও ছিলা জখম করে এবং আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা আমাকে ১নং আসামীর চেম্বারে আটকিয়ে রাখে। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯ কোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতিতে আমি প্রাণে রক্ষা পায়। আমার শোরচিৎকারে স্বাক্ষী ১) আনোয়ারুল ইসলাম (৩৫), পিতা-মৃত মতিয়ার মৃধা, সাং-জুগিয়া পালপাড়া, ২) মোঃ চাঁদ আলী (৪২), পিতা-মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ সরকার, সাং-বাড়াদী, উভয় থানা ও জেলা- কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের অনেকেই ছুটে এসে ঘটনার বিষয়ে জানে ও দেখে। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। আসামীগণ আরও বলে যদি এ বিষয়ে বেশী: বাড়াবাড়ী করিস তাহলে অসুবিধা আছে বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করিতেছে। উক্ত আসামীগণ যেকোন সময় আমার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি ।