1. amd477271@gmail.com : admin :
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikbangladesh : Shah Zoy
শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কুষ্টিয়ায় পার্লার ব্যবসার অন্তরালে চলছে মাদক ব্যবসা! পুলিশের অভিযানে পার্লার থেকে সুন্দরী মাদক ব্যবসায়ী আটক। গান গেয়ে সংসার চলে প্রতিবন্ধী বিথেন সরকারের কামাল উদ্দিন টগর,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ- দৌলতপুরে সেফটিক ট্যাংকের ভিতরে দুই রাজমিস্ত্রীর মৃত্যু কুষ্টিয়ায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-১ মিরপুরে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকের ভেতর থেকে ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক-০১ কুমিল্লা রিজিয়নের মাসিক কল্যাণ সভা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সফরসঙ্গী হচ্ছেন কুষ্টিয়ার আবদুল লতিফ কাব্যকথা পরিষদের আয়োজনে কুষ্টিয়ায় ৪ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের অভিযানে ৩৬বোতল ফেন্সিডিল ও ০১টি পুরাতন মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার-০২ এডিশনাল ডিআইজি মো: খাইরুল আলম এর বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে ২০ বছর পদার্পণে সহকর্মীদের ফুলেল শুভেচছায় সিক্ত

দুই’শ মসজিদের ক্যালিগ্রাফি করেছেন অনিল কুমার

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ১৭০ বার পড়া হয়েছে

প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : একজন হিন্দুধর্মাম্বলী হওয়া সত্ত্বেও অনিল কুমার চৌহান গত ৩০ বছরে দুই’শরও বেশী মসজিদে পবিত্র কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি করেছেন।

না কেউ তাকে শেখায়নি ক্যালিগ্রাফি। নিজে নিজেই লিপির কলা ও কৌশল আয়ত্ত করেছেন। তারপর তাঁর ৩০ বছরের পেশাদারী জীবনে ২০০টিরও বেশি মসজিদের দেওয়ালে কুরআনের আয়াত আরবিতে ক্যালিগ্রাফি করেছেন। হায়দরাবাদের এই স্বশিক্ষিত শিল্পী প্রথম জীবনে উর্দুতে সাইনবোর্ড লিখে উপার্জন করতেন।

তাঁর কথায়,”আমি দরিদ্র হিন্দু পরিবারের সন্তান। আর্থিক কারণে দশম শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়। তবে আমি আঁকায় ভাল ছিলাম। তাই এটাকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলাম।” শুধু মসজিদ নয়, চৌহান ৩০টি মন্দিরে দেব-দেবীর ছবি এঁকেছেন। অসংখ্য দরগা ও মঠের দেওয়ালেও শোভা পাচ্ছে তাঁর হস্তশিল্প।
তিনি জানান, ১০০টিরও বেশি মসজিদে ক্যালিগ্রাফি করার জন্য তিনি সাম্মানিক পেয়েছেন, তবে বহু মসজিদে বিনামূল্যে আরবি লিপি খোদাই করে দিয়েছেন। মসজিদের সঙ্গে তিনি এক আধ্যাত্মিক সংযোগ অনুভব করতেন, তার ফলে সাম্মানিক দাবি করতে তাঁর মন চাইত না। আরবি ও উর্দু ভাষা শিক্ষার জন্য চৌহান কোনও ইসলামিক স্কুল বা মাদ্রাসায় যাননি। কাজ করতে করতে তিনি উর্দু লিখতে ও পড়তে শিখেছেন। ধীরে ধীরে মানুষ তাঁর প্রতিভার কদর করতে শুরু করে এবং হায়দরাবাদের বিভিন্ন সৌধে কুরআনের আয়াত লেখার ডাক পেতে শুরু করেন। এই শহরের অধিকাংশ দোকানদার মুসলিম। তাই সাইনবোর্ডও লিখতে হত উর্দুতে।

ফলত, এই ভাষা শিখে নিতে মনস্থির করেন চৌহান। এ সব ৩০ বছর আগের কথা। এখন যদিও অধিকাংশ সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা হয়। যাইহোক, উর্দু না বুঝেই তিনি প্রথমে ক্যালিগ্রাফি করতেন এবং পরে এই ভাষার প্রেমে পড়ে যান। এমনটাই জানালেন শিল্পী চৌহান। তিনি আরো জানান,শিল্পের কোনও ধর্ম নেই। ঈশ্বর, আল্লাহ, যিশু–সবই এক। আমরা ঈশ্বরের সন্তান।

আমার এই যাত্রাপথ একেবারে কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। হিন্দু হওয়ার জন্য বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এরপর হায়দরাবাদের জামিয়া নিজামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ফতোয়া দিয়ে বলে যে, চৌহানের এই কাজ করায় কোনও অসুবিধা নেই। কুরআনের সুরা ইয়াসিন ক্যালিগ্রাফি করেন তিনি। সেই ক্যানভাস আজও শোভা পাচ্ছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গ্যালারিতে। চৌহান বলেন,”আমি বিশ্বাস করি, শ বন্ধুই মুসলমান। আমরা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করি, ঘুরে বেড়াই, মাহফিলে যাই।”

বি/বি/নি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন