ব্যক্তি স্বার্থে অতীতে ধারাবাহিকভাবে কতিপয় সাংবাদিক-অসাংবাদিক প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করেছে। তারা অনেক পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্য না করে, অপেশাদার, অসংবাদিক, রাজনীতিবিদ এমনকি ঘরের বউদের সদস্য করেছে।
কোন সময় ভোট না দিয়ে আবার নির্বাচন হলে টাকা দিয়ে ভোট কিনে, পবিত্র ধর্মের অপব্যবহার করে বেশ কয়েকবার এখানে অসংবাদিকরা সভাপতি-সম্পাদকও হয়েছে। এর ফলে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি) অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে৷ অসাংবাদিকদের নেতৃত্বের কারণে পেশাদার সাংবাদিকরা হামলা-মামলা এবং হয়রানির শিকার হয়েছে। বার বার সাংবাদিকদের ঐক্য ভেঙেছে।
জেলা না হয় বাদই দিলাম .. এখন অনেক উপজেলা প্রেসক্লাবগুলোতেও নিজস্ব ভবন হয়েছে। আর তখনও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে চলেছে।
এরপর বারবার নির্যাতিত, কারাবরণকারী সাংবাদিক নেতা রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবের নেতৃত্বে আসে কেপিসি। প্রায় এক যুগ ধরে সাংবাদিকদের ঐক্যের প্রতীক বিপ্লব নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিপ্লব-সোহেল রানা ও প্রয়াত পিনু-খোকনের নেতৃত্বে ধীরে ধীরে জঞ্জাল পরিষ্কার করে কেপিসি নতুন সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়েছে।
এখন কুষ্টিয়ার নারী সাংবাদিক আফরোজা আক্তার ডিউ সারা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)র কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম নারী সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়ে তিনি কুষ্টিয়াকে গর্বিত করেছেন।
এরা দীর্ঘ সময় ধরে সাংবাদিকদের বিপদে আপদে, সুখে দুঃখে পাশে থেকেছে। বর্তমান সরকারের কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা এনে সাংবাদিকদের কল্যাণ করেছে। অসুস্থ হলে অথবা কোন সাংবাদিক মারা গেলে তার পরিবারের পাশে থেকেছে। দেশের ও দেশের উন্নয়নে স্বাধীনতার স্বপক্ষে কাজ করে চলেছে।
আবারো নির্বাচন এসেছে। আলাদা পক্ষ যখন কাদা ছোড়াছুড়ি পেরিয়ে মল ছুড়ছে, তখন বিপ্লব একঝাঁক পেশাদার সাংবাদিক নিয়ে সুস্থ ভোট যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। ভোটারদের পেশাগত সাংবাদিকদের পক্ষে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
কারণ এবার কেপিসির নিজস্ব জায়গায় নিজস্ব ভবন হবে। ইতিমধ্যে জায়গা ও ভবনের ডিজাইন নিশ্চিত হয়েছে। এটা শুধু রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সোহেল রানা, আফরোজা আক্তার ভিউ, মাহমুদ হাসানদের পক্ষেই সম্ভব .. জাহিদুজ্জামানের মত সাংবাদিকরাও যে তাদের সাথেই রয়েছেন ..