মোঃ হাসিব রাব্বি ভেড়ামারা কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডি গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এক আগুনের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিকান্তের সাথে সাথে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ড প্রকাণ্ড রূপ পরিগ্রহ করে এবং লেলিহান শিখায় ভস্মিভূত হতে থাকে গুদামে রক্ষিত বিপুল পরিমাণ তামাক।
এলাকাবাসী কর্তৃক সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারা ফায়ার স্টেশন এর স্টেশন অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত জলাশয় খুঁজে সেখানথেকে পানি সংগ্রহ করে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে দেখা যায় সেখানে মোট ৩ টি গুদাম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে মাঝখানের গুদামটিতে আগুন লাগে।
ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোঃ শরিফুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানান আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২.৫৫ মিনিটে হায়ার সার্ভিস স্টেশন স্টেশনে খবর আসে সোনাইকুন্ডিতে তামাকের গোডাউনে আগুন লাগার। সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে কাল বিলম্ব না করে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও কর্মীরা রাত ০১.১০ মিনিটের সময় ঘটনা স্থলে পৌঁছে ২৫ মিনিটের প্রচেষ্টায় রাত ০১.৩৫ মিনিটে সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেন এবং আশেপাশের অবশিষ্ট যে গুদাম ঘর গুলো এবং বসতবাড়ি অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা করেন। ফায়ার সার্ভিসের এই আন্তরিক তৎপরতায় প্রায় কোটি টাকার সম্পদ অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোঃ শরিফুল ইসলাম।
যে গুদামটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই গুদামটি শিরিন টোব্যাকো কোম্পানির মালিকানাধীন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গুদামটির মালিক মোঃ নিয়ামত আলী, পিতা মৃত মুনতাজ আলী লস্কর প্রতিবেদককে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে তার গুদামের তামাক ভস্মীভূত হয়ে তিনি বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভূমিকা রাখায় আরো ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাওয়ায় তিনি ফায়ার সার্ভিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার তামাক করে ভস্মীভূত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।