প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ডেক্স
আজ বুধবার ১৫ মহররম মোতাবেক ২ জুলাই ইসলামি ঐতিহ্যের আনুষ্ঠানিক এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বাদর বিন সুলতান এতে অংশ নেন। এ সময় মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইসসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা এতে অংশ নেন।
কাবাঘর ধোয়ার কর্মসূচি কয়েক ধাপে পালিত হয়। প্রথমে পবিত্র ঘরের বাইরে গিলাফ নিচের দিক থেকে কিছু অংশ ওপরে তোলা হয়। এরপর বিশেষ সিঁড়ি ব্যবহার করে সংশ্লিষ্টরা কাবাঘরের দরজায় গিয়ে উপস্থিত হন। অতঃপর পবিত্র কাবাঘরের দ্বাররক্ষী শায়খ সালেহ আল-শায়বা চাবি দিয়ে দরজা উন্মুক্ত করলে সবাই ভেতরে প্রবেশ করেন। ধিংযরহম শধনধ কাবা পরিষ্কার জমজমের পানি দিয়ে কাবা ধোয়া হচ্ছে
এরপর বিশেষভাবে গোলপজল মিশ্রিত জমজম পানি দিয়ে কয়েক ধাপে তা ধোয়া হয়। মূলত জমজমের পানি দিয়ে পবিত্র কাবাঘর ধোয়া হয়। জমজমের পানির মধ্যে বিভিন্ন দ্রব্য মিশ্রণ করা হয়। এর মধ্যে গোলাপজল, উদ, ইতার নামের সুগন্ধির মেশানো থাকে। উন্নত মানসম্পন্ন এ উপাদানগুলোর দামও খুব চড়া। ধোয়ার আনুষ্ঠানিকতার আগেই এসব সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়।
মহানবী (স.)-এর সময় থেকে পবিত্র কাবাঘর ধোয়ার ঐতিহ্য চলে আসছে। অষ্টম হিজরিতে রাসুল (স.) মক্কা বিজয়ের পর পবিত্র কাবাঘর ধৌত করেন। ইসলামের সম্মানিত খলিফারাও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। তাদের পর থেকে আজ পর্যন্ত এ প্রথা চালু রয়েছে। প্রতি হিজরি বছরের ১৫ মহররম অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র: আরব নিউজ