প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পড়ে আছে সারি সারি পোড়া লাশ। তবে শরীরের অধিকাংশ আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তাদের চেনার কোনো উপায় নেই। পরিচয় শনাক্তে করতে হবে ডিএনএ টেস্ট।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে এমনটিই জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানা থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। আমাদের প্রথম কাজটি হবে এসব লাশের যথাযথ প্রক্রিয়ায় ডিএনএ টেস্ট করে শনাক্ত করা।
এডিশনাল এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহা আরো বলেন, এসব লাশ আগুনে ঝলসে গেছে। প্রয়োজনে তাদের লাশ ফ্রিজিং করা হবে। আত্মীয়দের সঙ্গে ডিএনএ সিম্পল মিলিয়ে পরবর্তীতে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে রূপগঞ্জের ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির কার্টন কারখানায় এ আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫২ জন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের কর্মকর্তা বাবুল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৪৯ জনের লাশ পেয়েছি। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এসব লাশ আনা হয়। ডিএনএ টেস্ট করার জন্য লাশগুলো সারিবদ্ধ রাখা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের পর স্বজনদের কাছে এসব লাশ হস্তান্তর করা হবে।
ডে/বা