নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৩ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে ৩দিনের জন্য লালন মেলা বরদ্দ দিয়েছে লালন একাডেমি। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকায় ইজারাপ্রাপ্ত হয়েছেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু। ইজারদারকে মেলার বরাদ্দ সংক্রান্ত ১৮ টি শর্ত প্রদান করে নোটিশ দিয়েছেন এনডিসি ও লালন একাডেমির সদস্য সচিব শাহেদ আরমান। ৭ নম্বর শর্তে উল্লেখ আছে ‘মেলার প্রস্তুতি ১৬ অক্টোবর, মূল মেলা ১৭ থেকে ১৯ অক্টোবর ২০২৩ এবং মেলার যাবতীয় সমাপ্তি কার্যক্রম ২০ অক্টোবর দুপুর ১২ টা পর্যন্ত।’ অথচ ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার আগে থেকেই গত ৬ অক্টোবর থেকে লালনের মাঠের গেটে নাশকতা মামলার আসামী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপি কর্মীদের দিয়ে মেলার মাঠ ইজারা ভাড়া আদায়ের রসিদ কাটা হচ্ছে। মাঠে ভলেন্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি ও ছাত্রদল যুবদলের ছেলেদের। ১৬ অক্টোবর মেলার প্রস্তুতির তারিখ নির্ধারণ থাকলেও মেলার শুরুর ১০ দিন আগেই মাঠ বরাদ্দ দিয়ে টাকা আদায় করছে ইজারাদার। টাকার রসিদে মেলা শুরু এবং সমাপ্তির তারিখ উল্লেখ না করে এক মাসের কথা বলে টাকা আদায় করছে।
মেলার ১৪ নম্বর শর্তে আছে ‘প্রতি বর্গফুট জায়গা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত ৪০ টাকার উর্ধ্বে নেওয়া যাবেনা’। অথচ মেলার ৯ ফুট বাই ১৪ ফুটের ১ নং দোকান তিলের খাজার জন্য ৪৫ হাজার টাকায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী এই দোকানের বরাদ্দ মুল্য ৪০ টাকা বর্গফুট অনুযায়ী এরমুল্য হয় ৫ হাজার ৩ শত টাকা। একইভাবে দেখা যায়, স্টল নং ৩ যার আয়তন ১৬ ফুট বাই ৯ ফুট। ৪০ টাকা বর্গফুট অনুযায়ী এরমুল্য হয় ৫ হাজার ৭৬০ টাকা। অথচ আদায় করা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। রসিদে অর্থ আদায়ের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০২৩। ১৬ অক্টোবরের আগেই কিভাবে মেলা বসছে? নির্ধারিত মুল্যের অতিরিক্ত অর্থ কেন আদায় করা হচ্ছে? প্রশাসনের দেওয়া কোন শর্তই মানছে না ইজারাদার। দলীয় ক্যাডারবাহিনী দিয়ে মাঠে যা ইচ্ছে তাই করছে। এ বিষয়ে ইজারদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন ও মেলার শর্তভঙ্গের দায়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী লালন ভক্ত অনুরাগীদের।