সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলী। এনটিভির কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কুষ্টিয়ার মানুষের পাশে থেকে তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছেন এই নারী সাংবাদিক। তবে এভাবে একজন নারী হয়ে তাকেই ছুটতে হবে তা কখনো ভাবেননি তিনি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ তাকে সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হয়েছে।
ছুটতে হয়েছে জেলার এ প্রান্ত থেকে ওপর প্রান্ত পর্যন্ত। এতে করে বরং তিনি আনন্দও খুঁজে পেয়েছেন।
তবে সেই ফারুক আহমেদ পিনুর সাথে সমসময়ই লেগে থাকা ক্যমেরাপারসন হিসেবে আশিফুজ্জামান সারফু সারথী হিসেবে আজও সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলীর সাথে রয়েছেন। এবং সম্প্রতি এনটিভি কর্তৃপক্ষ সারফুকে ক্যামেরাপাসন হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় ক্যামেরার সামনে এবং ক্যামেরার পেছনে কাজ করে স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করছে।
সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলী একজন অত্যন্ত মননশীল ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে সমাজে সমাদৃত। জন্মসূত্রে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার জেলার ভেড়ামারা উপজেলায়। তার স্বামী জননন্দিত কুষ্টিয়া জেলার সকলের সুপরিচিত প্রয়াত সাংবাদিক ফারুক আহমেদ (পিনু)। দীর্ঘদিন ধরে এনটিভির সাংবাদিক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্মার্ট, সুদর্শণ ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছিলেন পিনু।
তিনি মৃত্যুবরণ করার পরেই কতৃপক্ষ কুষ্টিয়ার এনটিভির জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেন সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলীকে। তারপর থেকেই মানুষের জন্য সে সর্বত্র ছুটে চলেছেন জেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।
তার চলার পথে অনেক ঘাত প্রতিঘাত আসে কিন্তু সেটাকে উপেক্ষা করে সর্বদা মানুষের মধ্যে থেকে কাজ করতেই তিনি বেশি ভালোবাসেন।
সাংবাদিকতা পেশা তিনি কেন বেছে নিয়েছেন……? উত্তরে তিনি বলেছেন আমার স্বামী মরহুম ফারুক আহমেদ পিনু দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত ছিলেন তার মৃত্যুর পরে মানুষের মাঝে তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই আমি সাংবাদিকতাকে আঁকড়ে ধরেছি।
তার শেষ স্মৃতিচিহ্ন সাংবাদিকতা পেশাটুকু নিয়েই এখন আমি বেঁচে আছি এবং পরবর্তী যতদিন বাঁচবো সেটাকে আঁকড়ে ধরেই বাঁচবো।
শ্যামলী আরও বলেন যখন কোন সংবাদ সংগ্রহের কাজে যায় তখন বিভিন্ন মানুষ প্রশ্ন করে আপনি পিনু ভাইয়ের স্ত্রী তখনই আমার মনে হয় সাংবাদিকতার মাধ্যমেই আমার স্বামী আজও বেঁচে আছে সবার অন্তরে তাই আমি এই সাংবাদিকতা পেশাকে আঁকড়ে ধরেছি। তাই আমি মনে করি পেশা যখন ভালবাসায় পরিনত হয় তখন সকল প্রতিকূলতা ডিঙ্গে লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হয়। আর তারি ধারাবাহিকতায় এই মহামারী করোনা কালেও সে সংবাদ সংগ্রহের লক্ষ্যে ছুটে বেড়িয়েছেন জেলা শহরের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়।
শুভ জন্মদিন হে নারী জাগরণের অগ্রদূত,,, নারী সাংবাদিক। আপনার হাত ধরেই উঠে আসুক আরও অনেক নারীদের জানা না জানা কথার পংক্তিমালা।