প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ডেক্স
কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর
উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের মৃত নুর মোহম্মদ মোল্লার পুত্র মোঃএনামুল হক(৩৮)সুদকারবারীর এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে, এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় নওদা আজমপুর গ্রামের রম্মত নামে একজন ভ্যান চালকের বসতবাড়ি জোর করে দখল করে নিয়েছে ,একই গ্রামের কাশেম নামে একজন ভ্যান চালকের বউ কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মুক্তি পণ হিসাবে সুদের টাকা আদায় করেছে ,উল্লাস খা নামের এক ব্যাক্তির মায়ের স্বর্ণের এক জোড়া দুল নিয়ে নিয়েছে ,সুদের টাকা না দিতে পারায় একই গ্রামের আনিচ নামের এক ব্যক্তি নিজ বাড়ীতে আসতে পারে না গত চার বছর যাবৎ, চৌধুরী পাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম নামের একজনের ভাতিজাকে মার ধর করে টাকা আদায় করেছে, তার আপন মেজ ভাই নজরুল ইসলাম এর ৫ কাঠা ধানী জমি নামমাত্র কিছু টাকা বায়না করে মেম্বর সহ মেম্বারের বড় ভাই নালান মোল্লা ২.৫ বিঘা জমি জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে এই বিষয়ে উনার মেজ ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতেই মামলা করেছেন যার বিচার প্রক্রিয়াধীন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন বলেছেন তিনি সদরপুর ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছিল সুদকারবারী, তার নিজ ওয়ার্ডের ৫০ জনের কাছে সুদে টাকা দিয়েছিলো শর্ত ছিলো নির্বাচিত হলে শুধু আসল টাকা ফেরত দিতে হবে আর না হলে ভোটের পরের দিনই সুদ সহ আসল টাকা দিতে হবে যার কারনে তাকে নির্বাচিত করতে বাধ্য হয়েছিল ভুক্তভোগী পরিবার, নির্বাচিত হওয়ার পরে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মেম্বার এনামুল হক ও তার বড় ভাই নালান মোল্লা। তাদের ভয়ে এই সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না ভুক্তভোগীসহ সুদের উপর টাকা নেওয়া পরিবার , নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ২ বছরের মধ্যে ভিটা জমি ,ধানী জমি সহ মোট ১৩ বিঘা জমি ক্রয় করেছে যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা, এত টাকার মালিক উনি কিভাবে হলেন, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দুদক ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী।গুনীজনরা বলেন যে বর্তমান এই সুদের ব্যাবসায়ীরা সহজ সরল মানুষগুলোর মস্তিষ্ক ওয়াস করে তাদের টাকা দেই পরবর্তীতে তাদের সুদের টাকা না দিতে পারলে পচন্ড চাপ সৃষ্টি করে ফলে বহু মানুষ আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেই, তাই এই সমস্ত সুদের কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী বলে মনে করেন।