যশোর বোর্ডে প্রথম হলেন কুষ্টিয়ার ছেলে শেফাত
যশোর বোর্ড থেকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন মোঃ আহসানুল হক শেফাত। কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে তিনি বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। যশোর বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়। ঢাকা নটর ডেম কলেজে চান্স পেয়ে ইতিমধ্যে তিনি সেখানে ভর্তি হয়েছেন।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ এফতে খাইরুল ইসলাম বলেন, শেফাত মেধাবী এবং খুব পরিশ্রমী। ডায়নামিক একটি ছেলে। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য তার জন্য অপেক্ষা করছে।
ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোঃ মারুফ হাসান বলেন, খুবই ভালো ছেলে। প্রায় সময় শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে পরিচিত মুখ। স্কুলে পড়ার সময় পড়ালেখার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকত। অনেকবার জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া বিশ্বাসপাড়া গ্রামে জন্ম মোঃ আহসানুল হক শেফাতের। বাবা এনামুল হক ও মা শেফালী বেগমের একমাত্র আদরের ছেলে। শিক্ষার হাতেখড়ি হয় ভাই ইঞ্জিনিয়ার সেলিম হক এর হাত ধরে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শুরু হয় স্থানীয় সোনালী প্রিপারেটরি স্কুল মিলপাড়া কুষ্টিয়া।
২০১৭ সালে পিএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নিজ ইউনিয়নে প্রথম হয় শেফাত। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩ এর বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাস করেন। মাধ্যমিক পর্যন্ত নিজের গ্রামেই পড়ালেখা করেছেন তিনি। এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ ফলাফল করেন।
শেফাত বলেন, আমার পিতা-মাতা’সহ শিক্ষক ও সহপাঠীবৃন্দ সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় আজ আমি এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। শিক্ষক এবং সহপাঠীর কারণে স্কুলের সময়টা আমার ভালোই কেটেছে। তাই আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং বাবা মা ও ভাইয়ের দোয়া আমার সাথে আছে। শিক্ষকমন্ডলী এবং বিশেষ কিছু মানুষের অনুপ্রেরণা সবসময় আমাকে উজ্জীবিত করেছে। আমি তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি।
স্কুলের সময় থেকে শেফাত বিভিন্ন সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। ইসলামী গজল, আজান, কোরআন তেলোয়াত, বিতর্ক, বক্তৃতা, রচনা, কুইজ ও সংগীত’সহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার বিচরণ রয়েছে। ২০২৩ সালে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় শেফাত বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে শেফাত বলেন, যে পেশাতে থাকি না কেনো, নিজের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীলতা থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করবো। সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হতে চাই। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।যশোর বোর্ডে প্রথম হলেন কুষ্টিয়ার ছেলে শেফাত
স্টাফ রিপোর্টার
যশোর বোর্ড থেকে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন মোঃ আহসানুল হক শেফাত। কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে তিনি বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। যশোর বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়। ঢাকা নটর ডেম কলেজে চান্স পেয়ে ইতিমধ্যে তিনি সেখানে ভর্তি হয়েছেন।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ এফতে খাইরুল ইসলাম বলেন, শেফাত মেধাবী এবং খুব পরিশ্রমী। ডায়নামিক একটি ছেলে। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য তার জন্য অপেক্ষা করছে।
ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোঃ মারুফ হাসান বলেন, খুবই ভালো ছেলে। প্রায় সময় শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে পরিচিত মুখ। স্কুলে পড়ার সময় পড়ালেখার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকত। অনেকবার জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া বিশ্বাসপাড়া গ্রামে জন্ম মোঃ আহসানুল হক শেফাতের। বাবা এনামুল হক ও মা শেফালী বেগমের একমাত্র আদরের ছেলে। শিক্ষার হাতেখড়ি হয় ভাই ইঞ্জিনিয়ার সেলিম হক এর হাত ধরে। আনুষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শুরু হয় স্থানীয় সোনালী প্রিপারেটরি স্কুল মিলপাড়া কুষ্টিয়া।
২০১৭ সালে পিএসসি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নিজ ইউনিয়নে প্রথম হয় শেফাত। একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩ এর বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পাস করেন। মাধ্যমিক পর্যন্ত নিজের গ্রামেই পড়ালেখা করেছেন তিনি। এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ ফলাফল করেন।
শেফাত বলেন, আমার পিতা-মাতা’সহ শিক্ষক ও সহপাঠীবৃন্দ সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় আজ আমি এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। শিক্ষক এবং সহপাঠীর কারণে স্কুলের সময়টা আমার ভালোই কেটেছে। তাই আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমত এবং বাবা মা ও ভাইয়ের দোয়া আমার সাথে আছে। শিক্ষকমন্ডলী এবং বিশেষ কিছু মানুষের অনুপ্রেরণা সবসময় আমাকে উজ্জীবিত করেছে। আমি তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি।
স্কুলের সময় থেকে শেফাত বিভিন্ন সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন। ইসলামী গজল, আজান, কোরআন তেলোয়াত, বিতর্ক, বক্তৃতা, রচনা, কুইজ ও সংগীত’সহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার বিচরণ রয়েছে। ২০২৩ সালে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় শেফাত বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে শেফাত বলেন, যে পেশাতে থাকি না কেনো, নিজের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্বশীলতা থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করবো। সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হতে চাই। তিনি সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।